ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩০০ কোটি, চিন্তিত অটোচালক!

ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩০০ কোটি, চিন্তিত অটোচালক!

স্বামীকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে দেখে একটু অবাক হন রশিদের স্ত্রী। চিন্তিত মুখে রশিদকে দেখে তিনিও চিন্তিত হয়ে পড়েন। কী হয়েছে জিজ্ঞাসা করতেই ঘটনাটা স্ত্রীকে বলেন রশিদ। স্ত্রীকে তিনি জানান, তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩০০ কোটি টাকা রয়েছে! টাকার অঙ্কটা শুনেই রশিদের স্ত্রী নার্ভাস হয়ে পড়েন। দরদর করে ঘামতে থাকেন রশিদ। ভয়ে হাত-পা প্রায় ঠান্ডা হয়ে আসে। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। আনন্দ নয়, আশঙ্কাই যেন পুরো পরিবারটাকে গ্রাস করে ফেলেছিল মুহূর্তেই!

পেশায় অটোচালক মুহাম্মদ রশিদ। টানাটানির সংসার। পাকিস্তানের বাসিন্দা।  সামান্য উপার্জন করা অটোচালকের ৩০০ টাকা সঞ্চয় করতে যেখানে বছরভর সময় লেগেছে, সেই লোকটির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এত টাকা এলো কোথায় থেকে?

জানা যায়, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পাকিস্তানে এমনই ছবি উঠে আসছে। রশিদের মতো বহু গরিব পরিবারের অ্যাকাউন্টে ‘ভুতুড়ে’ টাকা এসে পড়ছে। তার পর সে টাকা গায়েবও হয়ে যাচ্ছে! রশিদের মতো একই অবস্থা হয়েছিল শারওয়াত জেহরা নামে এক ব্যক্তির। তার অ্যাকাউন্টেও কয়েকশ কোটি টাকা জমা পড়েছিল।

পাকিস্তানে কালোটাকার কারবারিদের ধরতে নানা রকম পদক্ষেপ করছেন ইমরান খান। গত বুধবারই তিনি বলেছিলেন, কালোটাকার কারবারিদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।

রশিদের অবশ্য বিষয়টা বুঝতে খুব একটা সময় লাগেনি। আর সে কারণেই আতঙ্কে কুঁকড়ে গিয়েছিলেন তিনি। যে আশঙ্কাটা করেছিলেন শেষমেশ সেটাই হলো। ফেডারেল ইনভেসটিগেশন এজেন্সি থেকে রশিদের কাছে ফোন আসে। ফোন পাওয়া মাত্রই রশিদ গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের লোকেরা তাকে বোঝান তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য। রশিদ রাজিও হয়ে যান।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment